গণপরিবহন চলছে, থামেনি নৈরাজ্য

লকডাউনের তৃতীয় দিনে নগরীতে গণপরিবহন চলাচল করছে। ভাড়া আদায় নিয়েও চলছে নৈরাজ্য। পুরো বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। শর্ত অনুযায়ী ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যানবাহন চলাচল করতে হবে। কিন্তু বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হলেও পরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে না।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে নগরীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মৌচাক, মগবাজার, কাকরাই ও শাহবাগ এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, সরকার যেসব শর্তে গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধ উঠিয়ে দিয়েছে সেসব শর্ত কেউই মানছে না।

সকাল রাজারবাগ মোড়ে আয়াত পরিবহনের কয়েকটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রতিটি বাসেই আসন ভর্তি যাত্রী ছিল। তবে তা নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি চালকের সহযোগী।

বিআরটিএর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গণপরিবহনগুলোকে যেসব শর্ত মানতে বলা হয়েছে তা হচ্ছে, সিটি করপোরেশন এলাকাধীন সড়কে ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধারণক্ষমতার অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক-কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকারের অন্যান্য নির্দেশাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকবে। এসব শর্তের কোনোটাই সঠিকভাবে পালন করতে দেখা যায়নি।

সকালে রামপুরা ব্রিজ থেকে পল্টনে এসেছেন আবুল খায়ের। তিনি বলেন, অফিস সময়ে প্রতিটি আসনে যাত্রী নেওয়া হয়েছে। ভাড়াও নেওয়া হয়েছে দ্বিগুণ। এই পথ ৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ পরিমাণ টাকা দিয়ে রিকশা করেও আসা যায়। তাহলে গণপরিবহন চালু করে কি লাভ হয়েছে?

নগরীতে চলাচলরত কোনও পরিবহনের শুরু বা শেষে পয়েন্টে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যায়নি। বাসে ওঠার সময়ও হ্যান্ড স্যানিটাইজিং করতে দেখা যায়নি।

এদিকে বিআরটিএর শর্ত অনুযায়ী দূরপাল্লার কোনও বাস রাজধানীতে ঢুকতে পারবে না। কিন্তু সকালে সায়েদাবাদ এলাকায় নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাহসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিবহন প্রবেশ করতে দেখা গেছে।