জনকণ্ঠ ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলা

জনকণ্ঠ ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে ভবনের সামনেই অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন। রবিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত সিনিয়র প্রতিবেদক ফিরোজ মান্না, প্রতিবেদক সাজু আহমেদ, খোকন গুনকে মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অনেকে যে যার মতো করে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন। হামলাকারীরা লোহার রড ও লাঠি ব্যবহার করে।

বিকালে চাকরিচ্যুত জনকণ্ঠের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভাষ বাড়ৈ জানান, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা মূল ফটকে তালা দিয়ে ভবনের সামনে রাস্তায় অবস্থান নেন রবিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার আগে। বিকালে গ্লোবের সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।

জনকণ্ঠ ভবনের সামনে সাংবাদিকরাচাকরি পুনর্বহালে দুপুর থেকে চলা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর আবু জাফর সূর্য, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম। এছাড়া ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ক্র্যাবের নেতারা উপস্থিত হন এবং সংহতি প্রকাশ করেন। তবে সংহতি প্রকাশ করার পর অনেক সাংবাদিক নেতা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা জানান, গ্লোবের সন্ত্রাসী বাহিনী হঠাৎ করে এই হামলা চালিয়েছে। 

দুপুরে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের সঙ্গে অবস্থা নিয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম বলেন, ‘আমরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সাংবাদিকদের আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছি। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সাংবাদিকদের চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানাই।’

গত ১৫ মার্চ দৈনিক জনকণ্ঠের ৬০ শতাংশ সাংবাদিকদের একসঙ্গে চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ। এই ‘গণছাঁটাই’ বন্ধে ওই দিন বিকালেই জনকণ্ঠ অফিসের সামনে সাংবাদিক নেতারা সমাবেশ শুরু করে প্রতিবাদ জানান।

পরে বিষয়টি নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসার আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর পর নতুন করে একজন সংবাদিককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এই ঘটনার পর রবিবার (১১ এপ্রিল) চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা দুপুর ১২টার আগে জনকণ্ঠ ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বেলা ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ভবনের মূল ফটকে তালা মেরে দেন তারা।