অথচ থাকার কথা ছিল ঘরে

দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হল আজ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘোর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও সেটা মানছে না অনেকেই। দিনের বেলা অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরিতে জরিমানার সম্মুখীন তো হচ্ছেন আবার রাতের বেলা পাড়া মহল্লায় চলছে আড্ডা। পুলিশের গাড়ি যতক্ষণ টহল দেয় ততক্ষণ ঘরের ভেতরে অবস্থান নিলেও যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বেরিয়ে পড়ছে রাস্তায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ধুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

মহল্লায় আড্ডারত এর বাসিন্দারা চলমান কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জরুরি প্রয়োজনের অজুহাতে অপ্রয়োজনীয় কাজে রাস্তায় বের হয়েছেন অনেকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা তল্লাশি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের জেরার মুখে কেউ কেউ স্বীকার করেছেন অপ্রাসঙ্গিক বিষয়াদির কথা। তাদেরকে বরাবরের মতোই জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পুলিশের টহল গাড়ি আসলেই সবাই সরে যান সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের বিধিনিষেধ তদারকিতে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। অভিযানে সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং অনুমোদন ছাড়া দোকান খোলা রাখায় মোট ১১টি মামলা দায়ের ও ১৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

রাতে চলছে বাজার শুধু দিনের বেলা নয় রাতের বেলাও প্রায় একই চিত্র দেখা যায়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির থেকে বের হওয়া যাবে না নির্দেশনা থাকলেও পাড়া মহল্লা এমনকি প্রধান সড়কগুলোতে চিত্র একেবারেই ভিন্ন। বিভিন্ন পাড়া মহল্লার চা-নাস্তার দোকান খোলা দেখা যায়। সেখানে সাধারণ মানুষের ইফতারের পর পর আড্ডা দিতেও দেখা যায়। পুলিশের গাড়ি আসার শব্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে নেমে আসে নিস্তব্ধতা। আবার পুলিশের গাড়ি চলে গেলে শুরু হয় আড্ডা আর রাস্তায় চলাফেরা।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।