মুখরোচক ইফতার সামগ্রীর পসরা মিরপুরে, ক্রেতা কম

রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়কের নামিদামি হোটেলগুলোতে ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ৩টার পর থেকেই শুরু হয় ইফতার সামগ্রী বেচাকেনা। এর আগে থেকেই পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকালের পর রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী, কল্যাণপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ছোলা বুট, বড়া, বেগুনি, টিকা কাবাব, শামি কাবাব, জিলাপি, হালিমসহ নানা আইটেম নিয়ে ক্রেতাদের জন্য অপেক্ষা করছেন বিক্রেতারা। ইফতার সামগ্রীর তালিকায় বাদ যায়নি চিকেন রোস্ট, লেগ রোস্ট, খাসির রোস্টসহ নানা ধরনের মুখরোচক আইটেম। বিক্রিও হচ্ছে ভালোই।

ইফতার বিক্রি হচ্ছেআগের রোজাগুলোতে দেখা গেছে, দোকানের সামনেই ইফতার সামগ্রী নিয়ে বিকাল থেকেই বসতেন বিক্রেতারা। কিন্তু এবার দেখা গেছে রেস্টুরেন্টের ভেতরে, ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন তারা। আবার অনেককে দেখা গেছে, রেস্টুরেন্টের সামনে ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। তবে নেই ইফতার সামগ্রী কেনাবেচার আগের সেই হাঁকডাক।

বিক্রেতারা বলেন, গতবছরও করোনার সংক্রমণের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এবারও ক্ষতির সম্মুখীন। তারপরও সরকার নির্ধারিত নির্দেশনা মেনে খাবারের দোকান চালাচ্ছি। তবে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। যারা আসছেন তারা টুকটাক কিনছেন। একদিকে লকডাউন চলছে, অন্যদিকে ছুটির মধ্যেও সাপ্তাহিক ছুটি, ভেবেছিলাম কাস্টমার কিছু আসবে কিন্তু আশানুরূপ কাস্টমার পাইনি।

ইফতার বিক্রি হচ্ছেপাইক পাড়ার বাসিন্দা সালমান কেমি মিরপুর ১ নম্বর এসেছিলেন হালিম কিনতে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘরের খাবারের সঙ্গে বাইরের কিছু খাবার মিশ করেই আমরা ইফতার করে আসছি। সেজন্যই হালিম কিনতে আসা।’ করোনার এই ছুটির মধ্যেও বাইরে বের হয়েছেন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বের হয়েছি।’

প্রিন্স হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার বলেন, ‘সরকার যতটুকু সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে তার মধ্যেই আমরা দোকান খোলা রাখছি। শুধু পার্সেলের ব্যবস্থা রয়েছে। অনেকেই ইফতার সামগ্রী কিনতে আসছেন, তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে ক্রেতার সংখ্যা কম।’

ইফতার বিক্রি হচ্ছেবনলতা সুইটস অ্যান্ড বেকারির সহকারী ম্যানেজার বলেন, ‘প্রতিদিন বেলা তিনটার পর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত ইফতার সামগ্রী বিক্রি করি। করোনার কারণে যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি করা হচ্ছে। আপনি দেখতে পাচ্ছেন, খাবারে যাতে ধুলাবালি না পড়ে, সে জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।’

তবে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা গেছে, অনেকগুলোতেই মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব। যে যার মতো দাঁড়িয়ে ইফতার সামগ্রী কিনছেন। এ বিষয়টি দেখভালের জন্য রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি।

এছাড়া ইফতারির পসরা বসেছে রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিতে। সেখানেও ক্রেতার সংখ্যা কম পরিলক্ষিত হয়েছে।