অফিস সময়ে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ

লকডাউনের পঞ্চম দিন আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে। অফিস সময়ে বিভিন্ন পয়েন্টের চেকপোস্টগুলোতে গাড়ির এই জট দেখা যায়। অন্যদিনের তুলনায় আজ পুলিশের তৎপরতাও কম চোখে পড়েছে। বেশ কিছু চেকপোস্টে পুলিশের উপস্থিতিও দেখা যায়নি।

রবিবার সকালে প্রগতি সরণির রামপুরা বাজার, নতুন বাজার কোকাকোলা মোড়, হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে যানবাহনের তিব্র জট দেখা গেছে। এই এলাকাগুলোতে পুলিশের তৎপরতাও তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। চেক পোস্টগুলোতে সড়কে বের হওয়া যানবাহনগুলোকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে। চেকপোস্টে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই ছিল বেশি। এ সময় সড়কে দেখা গেছে প্রাইভেটকারের দীর্ঘ সারি।

রবিবার সকালে রাজধানীর একটি রাস্তার চিত্রএকই সময় খিলগাঁও রেলগেট, কমিউনিটি সেন্টার ও আবুল হোটেল মোড়ের চেক পোস্টে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। এ সময় সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।

সকালে নগরীর বিজয় সরণি মোড়েও বিপুল পরিমাণ যানবাহন দেখা গেছে। লাভ রোড সড়কের মোড়েও একই চিত্র দেখা গেছে। অকারণে কেউ বাসা থেকে বের হয়েছেন কিনা পুলিশ সদস্যরা তা পর্যবেক্ষণ করছেন। বাংলা মোটর, শাহবাগ, কাকরাইলসহ অন্যান্য সড়ক মোড়গুলোতেও ছিল একই চিত্র।

রবিবার সকালে রাজধানীর একটি রাস্তার চিত্রএদিকে লকডাউনে শর্ত অনুযায়ী পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে অফিস চালু রাখায় সাধারণ কর্মজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

মুভমেন্ট পাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। পুলিশি হয়রানির ভয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজেও অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। 

রবিবার সকালে রাজধানীর একটি রাস্তার চিত্রগ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কর্মকর্তা আসগর আলী বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ মিনিট চেষ্টা করেও সার্ভার থেকে মুভমেন্ট পাস নিতে পারিনি। পরে বাধ্য হয়েই সড়কে বের হয়ে পড়েছি।’

ছবি: নাসিরুল ইসলাম