স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লকডাউনে কেনাকাটা

করোনা সংক্রমণ রোধে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। কিন্তু রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী এলাকায় লকডাউন মানার ব্যাপারে ঢিলাঢালা ভাব লক্ষ করা গেছে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বেলা ৩টার পর চলাচল পুরো বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও সোমাবার (১৯ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখে গেছে, এসব এলাকায় যথারীতি বেচাকেনা চলছে। বিষয়টি এমন যেন ইফতারের দোকান সাজানো, কেনাকাটা ও চলাচল তখন আরও জোরেসরে শুরু হচ্ছে। 

সোমবার দুপুরে আদাবর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেশি হলেও লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছে সব ধরনের কেনাকাট। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি দেখা গেলে রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি না থাকলে ইচ্ছামতো চলছে কেনাকাটা ও চলাচল।

আদাবরের তাইমুর হাসান বলেন, ‘জনগণ সচেতন না হলে রাজধানীর প্রতিটি গলিতে পুলিশি চৌকি বসিয়েও লকডাউন কার্যকর করা কঠিন হবে। মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলকায় লকডাউন শতভাগ কার্যকর করা সম্ভব হবে না, যদি না মানুষ সচেতন হয়। মানুষ করোনার বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে না।’

শ্যামলীর চায়ের দোকানি মো. রাজু খান বলেন, ‘আমার চায়ের দোকান বন্ধ, অথচ যেসব দোকান খোলা খুব জরুরি নয়, সেগুলোও খোলা রয়েছে। সামনের ভবন মেরামতের কাজ চলছে লকডাউনের মধ্যে। পুলিশ না থাকলে লকডাউনও থাকছে না।’ 

কাঁচাবাজার ও জরুরি নিত্যপণ্য কেনাকাটার সময় সকাল ৯টা থেকে থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নির্ধারিত থাকলেও এর বাইরেও খোলা থাকছে। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজার, শিয়া সমজিদ কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজারে বেলা পৌনে ৪টায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গত দুদিন মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সন্ধ্যায়ও দোকাপাট খোলা থাকছে। আর মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কেনাকাটা করছে।