বৃহস্পতিবার মালপত্র সরাতে পারবেন মুসা ম্যানশনের ভাড়াটিয়ারা

পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় পুড়ে যাওয়া হাজী মুসা ম্যানশন থেকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) মালামাল সরাতে পারবেন ভবনটির ভাড়াটিয়ারা। এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে তার স্থানীয় কার্যালয়ে ভাড়াটিয়াদের দেখা করতে বলা হয়েছে।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে তথ্য নিশ্চিত করেন কাউন্সিলর শেখ মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভবনের প্রতিটি ভাড়াটিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এরইমধ্যে  তারা অনেকেই প্রতিনিধি পাঠিয়ে তাদের বাসায় থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র (টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও জমির দলিল) নিয়ে গিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের আঞ্চল ৪ এর কর্মকর্তা হায়দার আলী, লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারসহ স্থানীয়ে ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গতকাল সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো প্রত্যেক ভাড়াটিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের প্রতিনিধি  পাঠিয়েও মালামালগুলো নিয়ে যেতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাওয়া হবে। দ্রুত বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরিদর্শন করিয়ে ভবনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে ভবনটির।’

ভবনটিকে ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড় এখনও আছে। পুলিশি নিরাপত্তা কিছুটা ঢিলেঢালা। মনোয়ারা বেগম নামে এক নারী গেটের ফাঁক দিয়ে কিছু একটা দেখার চেষ্টা করছিলেন। কী দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখতে আসলাম আগুনটা কোত্থেকে লাগলো।’ আর কথা না বাড়িয়ে তিনি চলে গেলেন। মনোয়ারা বেগমের মতো অনেকেই আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশনের বাড়িটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।

পুলিশি নিরাপত্তা থাকার কথা থাকলেও দেখা মেলেনি কোনও পুলিশ সদস্যের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য না থাকায় অনেককেই ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে গেট দিয়ে উঁকিঝুঁকি করতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরপরই ভিড় করছিল  উৎসুক জনতা।

বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভবনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’ ভবনের সামনে তাদের কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভবনের পাশেই মক্কা টাওয়ারে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করার কথা।’