১৩ দিন পর লাগেজ ফিরে পেলেন প্রবাসী

মালয়েশিয়া থেকে ৭ এপ্রিল ঢাকায় আসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ বিল্লাল। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পরই খবর পান তার খালু মারা গেছেন। দ্রুত বাড়িতে না গেলে শেষ দেখা হবে না। তাই ইমিগ্রেশন শেষ করে তাড়াহুড়োয় দুটি লাগেজ না নিয়েই চলে যান কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে। পরে মনে পড়ে তিনি ব্যাগ ফেলে এসেছেন। কিন্তু এরমধ্যে শুরু হয়ে গেছে লকডাউন। ব্যাগ কীভাবে ফিরে পাবেন তা নিয়ে পড়েন দুশ্চিন্তায়। অবশেষে ১৩ দিন পর আর্মড পুলিশ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সহায়তায় ব্যাগ বুঝে পান এই প্রবাসী।

মোহাম্মদ বিল্লাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খালুর মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্থির থাকতে পারিনি। কিছু না ভেবেই দ্রুত বাড়ি চলে যাই। কয়েকদিন পর ব্যাগের কথা মনে পড়ে। কিন্তু বিমানবন্দরের কারও ফোন নম্বর নেই। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে এসেছিলাম। তাদের ঢাকার অফিসের নম্বরও ছিল না।’

অন্যদিকে বিমানবন্দরের বেল্টে দুটি ব্যাগ পেয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে ইউএস-বাংলা। ট্যাগ দেখে যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দেখা গেলো ফোন নম্বরটি মালয়েশিয়ার।

১৭ এপ্রিল ফেসবুক থেকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। পুলিশকে জানান দুটি লাগেজ ফেলে আসার কথা।

‘পুলিশকে ফোন করে জানালাম বিস্তারিত। তারা আমাকে ঢাকায় আসার কথা বললো। জানালাম লকডাউনে তো আসা সম্ভব নয়। তখন আমার ঢাকায় থাকা কোনও আত্মীয়কে পাঠানোর কথা বললেন তারা। আমি আমার জেঠাতো ভাইকে বললাম। তিনি ঢাকায় থাকেন’- জানালেন বিল্লাল।

আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, ‘মোহাম্মদ বিল্লালের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে নিশ্চিত হই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তাদের এক যাত্রীর ব্যাগ সংরক্ষণে রেখেছে। এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাত্রীর ভাই মানিকের কাছে লাগেজ দুটি হস্তান্তর করি।’

ব্যাগ ফিরে পেয়ে খুশি মোহাম্মদ বিল্লাল। বললেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম, বিমানবন্দরে থাকলে ব্যাগ হারাবে না। ছয় মাস পরে হলেও পাবো। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের সহায়তায় সহজেই লাগেজ ফিরে পেলাম। এয়ারলাইন্সকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।’