সামনে ঈদ তাই পরিবারের জন্য শপিং করতে এসেছেন মাসুদ। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে একের পর এক দোকান ঘুরতে ঘুরতে হয়ে গেছে ইফতারের সময়। নিরুপায় হয়েই পরিবার নিয়ে চলে গেলেন লেভেল ৮ এর ফুড কোর্টে। কিন্তু সেখানে বিধি বাম। চেয়ার টেবিলে তালা মারা আর বসার ব্যবস্থা মেঝেতে পেতে রাখা মাদুরে। নিরুপায় হয়ে বসে পড়লেন ইফতারের জন্য। মেঝেতে বসেই ইফতার করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন- শপিং করতে এসে তাহলে ইফতার করবো কোথায়।
ঈদের কেনাকাটায় এখন শপিং মলগুলোতে ভীষণ চাপ। স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে শপিং মলগুলোর সামনে রীতিমতো দীর্ঘ লাইন। তবে এই দৃশ্য ভিন্ন রূপ নেয় ইফতারের সময়। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ইফতারের আগ মুহূর্তে গিয়ে দেখা যায় শপিং মলের ভেতর দোকানপাটগুলোতে তেমন কোন ভিড় নেই। মানুষের ঢল এস্কেলেটরে দিয়ে উপরের দিকে। তাদের সঙ্গেই যেতে যেতে দেখা গেল গন্তব্য তাদের লেভেল ৮ এর ফুডকোর্টে। সেখানে প্রবেশের সঙ্গে দেখা যায় শপিং করতে আসা মানুষ মেঝেতেই মাদুর পেতে বসে আছেন। তারা মূলত ইফতার করার জন্য অপেক্ষা করছেন। ফুডকোর্টের ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ মাদুরের ব্যবস্থা করেছে। আর চেয়ার টেবিলগুলো একপাশে তালাবদ্ধ।
ইফতারের সময় দেখা যায়, বিক্রেতারা খাবারের আইটেমগুলো সাজিয়ে রেখেছেন তাদের দোকানের সামনে। ক্রেতা আসলেই তাদের মাদুরে বসার সুযোগ করে দেন। অর্ডার দেওয়ার পর মাগরিবের আজানের আগ দিয়ে খাবার পরিবেশন করা হয়। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, ইফতারের অন্তত এক ঘণ্টা আগে থেকে জায়গা পূরণ হওয়া শুরু করে।
ইফতার করতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে এই প্রতিবেদক। তবে কেউই তেমন কোন কথা বলতে রাজি হননি। এদের মধ্যে একজন তরুণী রীতিমতো জিজ্ঞেস করেন – আপনাদের সমস্যা কোথায়?
শুধু ফুড কোর্টের সামনে নয়, কেউ কেউ কিছুটা ভিড় এড়াতে সিনেপ্লেক্সের সামনেও মেঝেতে বসে পড়েছে ইফতারের জন্য। তাছাড়া মার্কেটের অন্যান্য অংশে এমনকি লিফটের আশেপাশেও মেঝেতে বসেই ইফতার করতে দেখা যায় শপিং করতে আসা ক্রেতাদের।