সারা দেশে চলছে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর’ লকডাউন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। গণপরিবহন চালু দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ করছে পরিবহন শ্রমিকরা। কোথাও নেই কোনও নিয়ম রীতি। ঘোষণায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। তবে জীবন-জীবিকা সচল এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দোকানপাট, শপিং মল, কলকারখানা, অফিস আদালতে কঠোরতায় শিথিলতা আনা হয়। তবে শুধু চলছে না গণপরিবহন বাস। এর মধ্যেই সংক্রমণ বেড়েই চলছে। কিন্তু মানুষের মাঝে এখনও সেই সতর্কতা আসেনি। মাস্কও পরছে না অধিকাংশ লোকই।
দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমলেও এখনো বিপদ কাটেনি। মহামারির আরও ভয়াবহ রূপ ধারণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু এর পরেও হেলাফেলায় চলছে নগর জীবন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নেই কোনও নিয়মকানুন।
নগরীর কাঁচাবাজারগুলোর চিত্রও একই। বিধিনিষেধ অনুযায়ী কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রয় করতে হবে। কিন্তু নগরীর কোনও দোকানপাট উন্মুক্তস্থানে স্থানান্তর করেনি দুই সিটি করপোরেশন। গাদাগাদি করেই কাঁচাবাজারগুলো চলছে। বেশিরভাগ বাজারেই সাধারণ মানুষকে করোনা ঠেকানোর অন্যতম হাতিয়ার দূরত্ববিধি ও মাস্ক পরে চলাচল করতে দেখা যায়নি।
নগরীর শপিংমল, অফিস আদালতগুলোতে এক সময় জীবাণুনাশক মেশিন দেখা যেতো। কিন্তু এখন তাও নেই। কিছু কিছু মার্কেটে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্প্রে করতে দেখা গেলেও সিংহভাগ দোকানপাট তা মানছে না। উন্মুক্তভাবেই চলছে বেচাবিক্রি। যেন তদারকি করার মতোও কেই নেই।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আমাদের বেশ কিছু কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এজন্য আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।