আরমানিটোলার আগুনে দগ্ধ দুজন এখনও আইসিইউতে

পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজি মুসা ম্যানশনের আগুনে দগ্ধ এখনও দুজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন খোরশেদ আলম ও মুনা সরকার। চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

সোমবার (৩ মে) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ওই দিনের আগুনের ঘটনায় আহত ২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে দুজন এখনও আইসিইউতে আছেন। দুজন মারা গেছেন। আর বাকিরা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।’

এর আগে আরমানিটোলা ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে লাইফসাপোর্টে থাকা আশিকুজ্জামান মারা যান। তিনি ২৮ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টায় মারা যান। আগুনে আশিকুজ্জামান ও তার স্ত্রী মুনা সরকারও দগ্ধ হন। অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৪ এপ্রিল আইসিউতে স্থানান্তর করা হয় তাদের। রবিবার ২৫ এপ্রিল ভোরে দগ্ধ সাফায়েত হোসেন মারা যান। সাফায়েতের স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়েও দগ্ধ হয়েছিলেন। ২৩ এপ্রিল ভোরে আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন কবির, মার্কেটের প্রহরি রাসেল, রাসেলের ফুপা আরেক প্রহরি ওয়ালিউল্লাহ ব্যাপারী (৭০) এবং চতুর্থ তলার বাসিন্দা ইডেন মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া। নিহতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি চাঁদপুরে।

গত ২৩ এপ্রিল (শুক্রবার) ভোরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজি মুসা ম্যানশনের নিচে তালায় কেমিক্যাল গোডাউনে থেকে আগুনের ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ছয় জন।