সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দলে দলে ঈদ শপিংয়ে ক্রেতারা

ঈদের আগে আজ শুক্রবার শেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই শপিংমলগুলোতে সকাল থেকে দলে দলে ভিড় করছেন ক্রেতারা। তাদের সবারই লক্ষ নতুন পোশাক কেনা। এ মার্কেট থেকে ও মার্কেটে ছুটছেন তারা। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে কোনোধরনের আতঙ্কের ছাপ দেখা যায়নি। যে যার মতো মার্কেট করছেন। অনেকে মাস্ক ছাড়া মার্কেটে ঘোরাঘুরি করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই অনেকে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।

শুক্রবার (৭ মে) রাজধানীর বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। স্বাস্থ্যবিধি মানানোর বিষয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষ ছিল উদাসীন। তারা শুধু বিক্রি নিয়েই ব্যস্ত।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে বিশেষ করে মাস্ক পরার প্রবণতা অনেকের মধ্যে থাকলেও কিছু সংখ্যক মানুষের মধ্যে  সে প্রবণতা দেখা যায়নি। অনেকে ঠিকঠাক মাস্ক পরা থাকলেও, অনেকের ছিল থুতনিতে ঝুলানো। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক।

ঈদের কেনাকাটা কারতে মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়বড় বড় শপিংমল ছাড়াও ফুটপাতের দোকানগুলোতেও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিক্রি নিয়ে কিছুটা সন্তুষ্ট তারা। সময় আরও আছে, বিক্রি আরও বাড়বে এমন আশায় উদ্বেলিত ক্রেতারা।

মিরপুর-১০ নম্বরের মিরপুর শপিং সেন্টারে কেনাকাটা করতে মিরপুর-১৪ নম্বর থেকে এসেছেন রাজিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের কেনাকাটার জন্য এসেছি। যতটুক সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসেছি। আমরা মাস্ক পরে রয়েছি। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে তারপরও ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন কাপড়চোপড় কেনাকাটার জন্য আসতে হয়েছে।’

রাস্তার পাশের দোকান থেকে পোশাক কিনছেন ক্রেতারামিরপুর-১ নম্বরের বাগদাদ শপিং সেন্টারের লিলি কসমেটিকসের কর্ণধার সুমন বলেন, ‘শুক্রবার হওয়ায় আজ কাস্টমার একটু বেশি। বিক্রি কিছুটা ভালো। আজকে আরও বিক্রি হবে এমন আশা করছি।’

বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দেখে মনে হচ্ছে না দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ার দিকে রয়েছে। এতে করে যে ভবিষ্যতে সংক্রমণ বাড়তে পারে এমন শঙ্কাও নেই কারও মধ্যে।