জলাবদ্ধতায় দাঁড়িয়ে কাউন্সিলরের ফেসবুক লাইভ

সিটি করপোরেশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা। তিনি সংস্থাটির মেয়রের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমি এমন একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছি, যেই প্রতিষ্ঠানের কাউন্সিলর আমি। আমার সব কথা মানা হয় না। দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করার সুযোগ করে দিন। সিটি করপোরেশনে আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। আমাদের দাবি পূরণ করেন।

শনিবার (১৫মে) নিজ এলাকার মধ্যমনিপুরের মাস্টার গলির জলাবদ্ধতায় দাঁড়িয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ইসমাইল মোল্লা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই এই অবস্থা। এই লাইভটি করার কারণ হচ্ছে, আমি সিটি করপোরেশনে দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে আমার এলাকার জলাবদ্ধতার কথা বলে আসছি। এই জলাবদ্ধতা কিন্তু হওয়ার কথা নয়। এর কারণ হচ্ছে- ড্রেন সিস্টেমগুলো যদি পরিচ্ছন্ন রাখা যেতো তাহলে এই জলাবদ্ধতা থাকতো না। আমি ৩ মাস ধরে শুধু একা চিৎকার করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর হিসেবে সিটি করপোরেশনকে বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। বারবার কঞ্জারভেন্সি বিভাগের প্রধানকে ফোন করেছি, বোর্ড মিটিংয়ে বলেছি যে, আমার এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা। ড্রেন ক্লিন করা লাগবে। ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।  আমি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই লাইভটি করেছি। আমি খুবই অসুস্থ। মাত্র কোভিড থেকে উঠেছি। এরপরেও আসতে হয়েছে।

মেয়রের উদ্দেশে তিনি বলেন,  আমি আগেও বলেছিলাম। আপনার মনে আছে নিশ্চয়ই। বসন্ত চলে যাচ্ছে, তার পর গ্রীষ্ম, তারপর বর্ষা। এখনও বর্ষা আসেনি। তাতেই এই অবস্থা। অতি দ্রুত যদি পদক্ষেপ না নেই তাহলে এই সমস্যা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। লোকজন হাটতে পারছে না। রিকশা ডুবে যাচ্ছে। এক হাঁটু পরিমাণ পানি হয়ে গেছে।

সিটি করপোরেশনের দায়িত্বহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমি সিটি করপোরেশনের একজন কাউন্সিলর হিসেবে বারবার তাগিদ দিচ্ছি। কিন্তু কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে না। আপনি (মেয়র) আমাদের বাঁচান। আমরা দায়িত্ব কোনওভাবেই অবহেলা করতে পারি না। ড্রেন ক্লিয়ারের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আমরা তা এখনও কাজে লাগাতে পারছি না।

লাইভের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখানে একটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বিরাজ করে। আমলারা চায় না জনপ্রতিনিধিরা ভাল কাজ করুক। ওদের একটাই ধারণা, যত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে তাহলে তাদের কোনও না কোনও বেনিফিট আছে। তা না হলে কেন তারা এসব করছে?

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা জনপ্রতিনিধি আমাদের কোন এক্সিকিউটিভ পাওয়ার নেই। আমরা উপদেষ্টার মত উপদেশ দিয়ে যাই, আর ওরা এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দেয়।