তোয়াব খানকে চাকরি ছাড়তে বলেছে জনকণ্ঠ

চলমান সংকটের মধ্যে প্রবীণ সাংবাদিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছেন তোয়াব খানকে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ হঠাৎ করে একদিনে জনকণ্ঠের ৬০ শতাংশ  সাংবাদিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

আগামী জুন থেকে আর পত্রিকাটির সঙ্গে থাকছেন না উল্লেখ করে প্রবীণ সাংবাদিক তোয়াব খান বুধবার (১৯ মে) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি বেশ কয়েক মাস ধরে করোনায় ভুগছিলাম। কর্তৃপক্ষ মনে করেছে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। এর বাইরে আর জানি না।’

চাকরি ছাড়ার কথা বলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এগুলো বুঝতে হলে জনকণ্ঠে খবর নেন, তাহলে বুঝতে পারবেন।’

তোয়াব খানকে আপনি চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছেন কিনা জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চাকরি ছাড়ার কথা কী বলা হয়েছে, উনার কাছ থেকে জানলে ভালো হয়। আমি এখন বলতে গেলে সঠিক উত্তর আমার কাছে আপনি পাবেন না। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, আমি সঠিক ওয়েতে সেই উত্তর দিতে পারবো না।’

জনকণ্ঠ থেকে গণ-অব্যাহতি পাওয়া সাংবাদিকরা জানান, জনকণ্ঠ নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে আগেই। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের গণ-অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি। এরইমধ্যে দেশের প্রবীণ সাংবাদিককে চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এটি দুঃখজনক।

উল্লেখ্য, বেতন-ভাতা ও ইনক্রিমেন্ট দাবি করায় দৈনিক জনকণ্ঠের শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ১৫ এপ্রিল অব্যাহতি দেওয়ার পর ওইদিনই জনকণ্ঠ ভবনের সামনে প্রতিবাদ করেন চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা। 

পরদিন ১৬ এপ্রিল আবারও  চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা জনকণ্ঠ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন কর্মসূচি চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। আহত সাংবাদিকরা সেদিন অভিযোগ করেছিলেন, গ্লোব-জনকণ্ঠের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তার নির্দেশে ভাড়াটিয়া বাহিনী এই সন্ত্রাসী হামলা চালায়।