ইয়াস নাকি যশ

ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়ে দেশে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কেউ লিখছেন ইয়াস (ইয়াশ),  কেউ লিখছেন যশ। আসলে নামের উচ্চারণ কী হবে জানতে চাইলে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, ‘আসলে এই ঝড়ের নাম দিয়েছে ওমান। তাদের বানান অনুযায়ী (ওয়াই, ডাবল-এ, এস)  উচ্চারণ হয় ইয়াস। যারা যশ লিখছেন তারা কেন লিখছেন তারা বলতে পারবেন।’ 

প্রসঙ্গত, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি  ঝড়ের নামকরণ করে থাকে। যেমন- ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ওমান। যাদের প্যানেলকে বলা হয় ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি। এবারের ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নামকরণ করেছে ওমান। 

বাংলাদেশের  সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, এটি একটি ফারসি শব্দ। এর বাংলা অর্থ জেসমিন বা জুঁই ফুল।

দেশের কোনও কোনও গণমাধ্যম ও ভারতীয় গণমাধ্যম লিখছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। তারা বলছেন,  ওমানের ভাষায় যশ মানে হচ্ছে হতাশা।

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়’ লিখছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে ওমান। এই ঝড়ের নাম যশ বা ইয়াস। যার মানে হল দুঃখ বা হতাশা। ফারসি ভাষা থেকে এই শব্দটি এসেছে। আনন্দবাজার পত্রিকাও লিখছে যশ।

এদিকে, গত বছরের মে মাসেই এই বঙ্গোপসাগরেই তৈরি হয়েছিল এক নিম্নচাপ। যার পরিণতি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান। আম্পান এর উচ্চারণ নিয়েও ওই সময় তৈরি হয়েছিল বিভ্রান্তি। ওই সময় ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে কেউ কেউ  লিখছিল ‘আম্পান’ আর কেউ লিখছিল ‘উমপুন’। বাংলাদেশ লিখেছিল আম্পান।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এখনও অস্তিত্ব লাভ করেনি। তবে এটি যে আসছে তা নিয়ে নিশ্চিত বিশ্ব আবহাওয়া অফিসগুলো।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ইতোমধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেটি শক্তিশালী হয়ে ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। যা আরও শক্তিশালী ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে এটি গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। চট্টগ্রাম, পায়রা, কক্সবাজার এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আগামীকাল ২৩ মে’র  মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত