প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবধরনের গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। রবিবার (২৩ মে) মধ্যরাত থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। এরইমধ্যে পরিবহন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সব প্রস্তুতি শেষ করেছে। নগরীর বাস, রেল ও লঞ্চ টার্মিনালগুলো তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার নগরীর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রী পরিবহনের জন্য সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কমলাপুর রেল স্টেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা ট্রেন চালানোর সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন। ট্রেনের বগিগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। কাল সকাল থেকে ট্রেন চলাচল করবে। সদরঘাটের চিত্রও একই। বুড়িগঙ্গা নদীর বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে থাকা লঞ্চগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। বাস টার্মিনালগুলোতেও চলছে প্রস্তুতি।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালানো হবে। লঞ্চে ওঠার সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজিং, মাস্ক পরিধান এবং জীবাণুনাশক ছিটানো হবে। গাদাগাদি করে কোনও যাত্রী পরিবহন করা হবে না।’
একই কথা জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। তিনি বলেন, ‘যাত্রী পরিবহন করতে আমরা মোটামুটি প্রস্তুত। কাল থেকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন করা হবে। আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাস চালানোর জন্য পরিবহন মালিক মালিকদের চিঠি দিয়েছি।’
এর আগে রবিবার (২৩ মে) মধ্যরাত থেকে চলমান বিধিনিষেধ আরও সাত দিনের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে বিধিনিষেধের মধ্যে সোমবার (২৪ মে) থেকে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, ট্রেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারবে। রবিবার নতুন করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।