৪৯ দিন পর চালু হয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। বাস, ট্রেনের পাশাপাশি চলছে লঞ্চও। এতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঢাকার নদী-বন্দর সদরঘাট। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রা শুরু করেছে লঞ্চগুলো। অনেক দিন পর যাত্রীদের পদচারণায় মুখর সদর ঘাট। তবে অন্য সময়ের চেয়ে যাত্রী কম। বিকালে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২৪ মে) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই টার্মিনালে যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়ছে। নৌশ্রমিকদের হাঁক-ডাকে মুখর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। ডাকাডাকি করেই যাত্রী উঠানো হচ্ছে। লঞ্চগুলোর ভেতরে কিছুটা ফাঁকা দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, লালকুঠি থেকে বাদামতলী পর্যন্ত অর্ধশতাধিক লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনালে নোঙর করা রয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মুলাদীগামী পন্টুন থেকে ৩০ মিনিট পরপরই যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিটি লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিচ্ছেন লঞ্চ মালিকরা। এ জন্য ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে ৬০ ভাগ বেশি।
স্বাভাবিকের তুলনায় এখন ঘাটে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৫টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। প্রতিটি লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা তদারকি করছি। ঘাটে যাত্রীর সংখ্যা কম থাকায় সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই লঞ্চে যাতায়াত করছেন।’
এর আগে রবিবার (২৩ মে) মধ্যরাত থেকে চলমান বিধিনিষেধ আরও সাত দিনের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে বিধিনিষেধের মধ্যে আজ সোমবার (২৪ মে) থেকে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, ট্রেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারবে। আজ নতুন করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম