দগ্ধদের মরদেহ চেনার কোনও উপায় নেই: সিআইডি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের মরদেহ দেখে চেনার কোনও উপায় নেই বলে জানিয়েছে সিআইডি। মরদেহ মার্কিং শেষ করে শুক্রবার (৯ জুলাই) রাতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।

মর্গে আসা মরদেহগুলোর মার্কিং সম্পন্ন করে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দুপুর থেকে মার্কিং কাজ শুরু করে সিআইডি ক্রাইম ইউনিট। 

মরদেহগুলোর মার্কিং শেষে সিআইডি’র এডিশনাল এসপি মোস্তাফিজুর মনির বলেন, ‘আমরা ৪৮টি মরদেহ মার্কিং করেছি। মরদেহ দেখে চেনার কোনও উপায় নেই।’

তিনি বলেন, মরদেহগুলোর ময়না তদন্ত হবে পাশাপাশি প্রতিটি মরদেহের ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য নমুনা সংগ্রহ করবে ফরেনসিক চিকিৎসকরা।

ডিএনএ’র মাধ্যমে শনাক্ত করতে কত দিন সময় লাগবে- এমন প্রশ্নে সিআইডি’র ডিএনএ অ্যাসিস্টেন্ট এনালাইসিস নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, ‘ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের নমুনার ওপর ভিত্তি করে আনুমানিক একটি সময় বলা যায়। কিন্তু এখানে এখনো কোনও স্যাম্পল হাতে পাইনি। পেলে বলা যেতে পারতো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যদি দু’পক্ষের নমুনা সহজ স্যাম্পল পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে নরমালি এক সপ্তাহ থেকে ছয় মাস সময় লাগে। তবে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত দেওয়া যায়।’