শ্রমিকদের প্রাণহানি মেনে নেওয়া যায় না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, শ্রমিকদের প্রাণহানি মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, ‘কারখানা নির্মাণে কোনও অনিয়ম চলবে না। কেউ অনিয়ম করলে আমরা তার শাস্তি চাই। সরকার কাউকে ছাড় দেবে না। শ্রমিকরাই দেশের অর্থনীতি সচল রাখছে।’

রবিবার (১১ জুলাই) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের (টিম) সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানা পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী এসব কথা বলেন।

এ সময় তারা নিহত ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কারখানাটি ঘুরে দেখেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি থাকবে— অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবেন।’

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক বাদল, নারায়ণগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবুসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস (সেজান জুস নামে পরিচিত) কারখানাটিতে আগুন লাগে।

কারখানার ছয় তলা ভবনটিতে তখন প্রায় চারশ’র বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়কিকরণের প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে।

প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। গত ৯ জুলাই দুপুরে কারখানার ভেতর থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, আগুনে পুড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে।