আকাশপথেও মানুষের চাপ বেড়েছে

ঈদুল আজহার বাকি আর তিনদিন। আর তাই ঘরমুখী মানুষের চাপ সর্বত্র। সড়ক, রেল, নৌপথের মতো আকাশপথেও বেড়েছে মানুষের চাপ; সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ প্রতিটি রুটে ভাড়াও বেড়েছে দ্বিগুণ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তিনগুণ পর্যন্ত।

শনিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখা যায় ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যেতে আগামীকাল ১৮ জুলাই ফ্লাইট রয়েছে সাতটি। আর সবমিলিয়ে সিট খালি আছে মাত্র ২৩টি (রাত ৮টা পর্যন্ত), ভাড়া দেখাচ্ছে ভ্যাট ছাড়া জনপ্রতি ৭ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৭ হাজার ৮০০ টাকা করে।

একই দিনে নভোএয়ারেরও ফ্লাইট রয়েছে ছয়টি। সবমিলিয়ে এই এয়ারলাইন্সটিতে আসন ফাঁকা রয়েছে ৩৩টি (রাত ৮টা পর্যন্ত)। এই এয়ারলাইন্সটিতেও ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৭ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার ৪০০ টাকা করে। 

একই দিনে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৈয়দপুরে ফ্লাইট আছে চারটি, তবে তিনটি ফ্লাইটের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি একটি ফ্লাইটের ফাঁকা আসনগুলোর ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৭ হাজার ৪০০ টাকা করে।

এবছর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ২১ জুলাই। ত্যাগের মহিমায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতবারের মতো এবারও করোনা পরিস্থিতিতে ভিন্ন বাস্তবতায় উদযাপিত হবে ঈদ। তবে লকডাউন শিথিল করায় মানুষজন ঢাকা ছাড়ার হার বেড়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১ জুলাই থেকে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ ছিল, সে সময় অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটও বন্ধ রাখা হয়। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে ১৫ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও চালু হয়। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালুর বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পাঁচটি, কক্সবাজারে দুটি, সৈয়দপুরে সাতটি, যশোরে ছয়টি, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীতে চারটি করে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

নভোএয়ার জানিয়েছে, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন চট্টগ্রামে ছয়টি, সৈয়দপুরে ছয়টি, যশোরে ছয়টি, বরিশালে চারটি, সিলেটে তিনটি, রাজশাহীতে তিনটি এবং কক্সবাজারে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা হতে চট্টগ্রামে তিনটি, সৈয়দপুরে তিনটি, কক্সবাজারে দুটি, যশোরে দুটি, সিলেটে দুটি, রাজশাহীতে একটি এবং বরিশালে একটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

এয়ারলাইন্সগুলো জানিয়েছে, ঈদের কারণে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৯৫ ভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে। সড়কপথে যানজট ও দীর্ঘ সময় লাগার কারণে আকাশপথে টিকিটের চাহিদাও বেশি।

ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এমনিতেই ফ্লাইট বন্ধ থাকায় মানুষের চলাচল বন্ধ ছিল। আর তারওপর এখন ঈদ হওয়ায় চাহিদাও বেড়েছে। চাপ বাড়লেও এ সময় বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ নেই।