গাবতলীতে যাত্রী চাপ নেই, গাড়িও ছেড়েছে কম

লকডাউন শিথিল করার পর থেকে গত তিনদিন রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এমনকি যানজটে আটকে পড়ে অনেক বাস নির্ধারিত সময়ে চার থেকে পাঁচঘণ্টা দেরি করেও ছাড়তে দেখা গেছে। আজকের চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন, বিশেষ করে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে আজ রবিবার (১৮ জুলাই) যাত্রীদের চাপ একেবারেই কম। এমনকি যাত্রী না থাকায় অনেক বাসের ট্রিপও বাতিল করার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ঈদের আগে আগামী দুদিন প্রচুর চাপ থাকবে বলে মনে করেন তারা।

আজ দুপুর পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রী সংখ্যা গত তিনদিনের তুলনায় আজ অনেক কম। সকাল থেকে সিডিউল থাকলেও যাত্রী কম থাকার কারণে ছেড়ে যায়নি অনেক গাড়ি। গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীর অপেক্ষায় রয়েছে অনেক বাস।

সেঞ্চুরি পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বলেন, আজ যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। অগ্রিম যারা টিকিট কেটেছিলেন তারা এসে বাস কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন। এছাড়া রানিং যাত্রী অনেক কম। তবে কাল থেকে যাচ্ছে চাপ বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

গত দুদিন আগে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আজ রবিবার ১৮ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট কিনেছিলেন মাহমুদ। চুয়াডাঙ্গা পরিবহনের কাউন্টারে এসে অপেক্ষা করছেন তিনি। যাত্রী সংখ্যা কম তাই বাসের সিডিউল পরিবর্তন হওয়ায় তাকে অন্য বাসে তুলে দেওয়া হবে। আর সেজন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাকে।

5

মাগুরা যাওয়ার জন্য পূর্বাশা পরিবহনের টিকেট কেটেছেন হাফিজুর রহমান। গত কয়েকদিন বিভিন্ন খোঁজখবর নিয়ে জেনেছিলেন বাসের সিডিউল ঠিক নেই তাই কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্বে আজ সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। দুপুরের দিকে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, কাউন্টারে এসে দেখতে পেলাম যাত্রী সংখ্যা কম, বাস নির্ধারিত সময়ে ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে। তবে যে শঙ্কা নিয়ে এসেছিলাম দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে সেটা থেকে এখন স্বস্তি পেয়েছি। তবে ঘাটে জ্যামে না পড়লেই হলো।

শ্যামলী এন আর পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, আগামীকাল ১৯ ও ২০ জুলাই এর অগ্রিম টিকেট প্রায় সবই বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। ঘাঁটে কিংবা টাঙ্গাইল মহাসড়ক জ্যামে না পড়লে বাসের সিডিউল ঠিক থাকবে। ঈদ উপলক্ষে গণপরিবহন চালু হওয়ায় জনগণের অনেকটাই স্বস্তি হয়েছে। তারা পরিবারের সাথে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যেতে পারছেন। আর পরিবহন এর সাথে সংশ্লিষ্ট আমরা যারা আছি তাদের জন্যও ভালো হয়েছে।