এখনও ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ

যশোর যাবেন জাহিদুল ইসলাম। গাবলতী এসে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর একটি মাইক্রোবাস পেয়ে উঠে পড়লেন এবং চলে গেলেন আমিন বাজার ব্রিজ পার হয়ে। তবে এজন্য তাকে ভাড়া দিতে হবে ১৫০০ টাকা। মাইক্রোবাসে আরও যাত্রী আছেন, তারাও যাবেন যশোর। বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে গাবতলীতে দেখা গেলো এখনও অনেকেই  ঢাকা ছাড়ছেন।

লকডাউনে বাস চলছে না, তাই বিকল্প পরিবহনে  মানুষজন ঢাকা ছাড়ছেন। কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ মাইক্রোবাসে, আবার কেউবা প্রাইভেটকারে ঢাকা ছাড়ছেন। আর  নিম্ন আয়ের মানুষজনের ভরসা মালবাহী ট্রাক। টাকা একটু বেশি খরচ হলেও মানুষজন যেকোনও উপায়েই ঢাকা ছাড়ার জন্য আসছেন গাবতলীতে।

গাবতলীতে রাস্তার দুই পাশেই রয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট। বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করছেন তারা। তবে যারা ঢাকা ছাড়ছেন, তারা পায়ে হেঁটে চেক পোস্ট পার হয়ে আমিন বাজার ব্রিজ থেকে গন্তব্যে যেতে  গাড়িতে উঠছেন।

গাবতলী আমিন বাজার ব্রিজের পশ্চিম প্রান্তে  দেখা মেলে অনেক মোটরসাইকেলের। এসব মোটরসাইকেল ফেরিঘাট ও চান্দুরা পর্যন্ত যাত্রীদের পৌঁছে দেয়। ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রতি জনের কাছে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হয়। যারা মোটরসাইকেলে যাচ্ছেন, তাদেরকে কয়েক দফা ভেঙে ভেঙে  যেতে হবে। অপরদিকে ঢাকায় বিভিন্ন কাজে আসা প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসকেও ডেকে ডেকে যাত্রী নিতে দেখা গেছে।

পাবনা থেকে বিমানবন্দরে যাত্রী নিয়ে এসেছিলেন আজমল মিয়া। ফেরার পথে মাইক্রোবাসে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি জন ৬০০ টাকা করে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছেন তিনি।

নাজমুল ইসলাম যাবেন কুষ্টিয়ায়। বাবা অসুস্থ তাই তিনি বাড়িতে যাচ্ছেন। তবে পকেটে বেশি টাকা না থাকায় ৫০০ টাকা ভাড়ায় উঠেছেন ট্রাকে। আরও  ১০/১৫ জন যাত্রী দেখা গেলো এই ট্রাকে।

নাজমুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ বাড়িতে আমার বাবা অসুস্থ। তাকে দেখার মতো কেউ নেই, তাই বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু গাড়ি না থাকায় সমস্যা।  মাইক্রোবাসে যাওয়ার মতো টাকাও নাই। তাই ট্রাকে যাচ্ছি।’