সেজান জুস কারখানা অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের লাশ কাল থেকে হস্তান্তর

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া শ্রমিকদের লাশ বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রথমদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ হস্তান্তর শুরু হবে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি মৃত শ্রমিকদের ডিএনএ প্রোফাইলিং সম্পন্ন করে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) রুমানা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে আমরা ৪৮টি মরদেহের মধ্যে ৪৫ জন শ্রমিকের লাশ শনাক্ত করেছি। আমাদের রিপোর্ট  রূপগঞ্জ থানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। রূপগঞ্জ থানা হয়ে রিপোর্টটি আবার সিআইডিতে এসেছে। কারণ, মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।’

তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লাশ হস্তান্তর শুরু করবেন। বাকি তিন জনের লাশ শনাক্তের কাজ চলছে। তাদের স্বজনদের পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় গত ৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার ছয়তলা ভবনটিতে তখন প্রায় ৪০০-এর বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ পণ্যের মোড়ক তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে।

প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়।

এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।