৩৫ কর্মীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিমান

করোনা মহামারির শুরুতে চীনের উহানে ফ্লাইট পরিচালনায় থাকা পাইলট, কেবিন ক্রুসহ ২০ জন এবং প্রকৌশল বিভাগের আরও ১৫ জন কর্মীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয়ে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সব সময়ই দেশ ও দেশের মানুষের প্রয়োজনে নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে কাজ করে। এ করোনা মহামারির সময়েও এর ব্যত্যয় হয়নি। বিমানের পাইলট ও কেবিন ক্রুরা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে দায়িত্ব পালন করেছেন। অপারেশন সীমিত হলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর কর্মীদের আন্তরিকতা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের কারণেই তখন সারা বিশ্ব থেকে আমরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাইনি।

বিমান জানিয়েছে, বিমানের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের উড়োজাহাজের সি-চেক শুরু হয় গত ১৭ আগস্ট, শেষ হয় ২৮ আগস্ট। দেশে সি-চেক করায় বিমানের আর্থিক সাশ্রয় হয়েছে ছয় লাখ মার্কিন ডলার। এ বছর আরও একটি এবং আগামী বছরে আরও চারটি ড্রিমলাইনারের সি-চেক দেশেই করা হবে। এতে আরও ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।

অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন প্রমুখ।