একমাসের মধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নগরবাসীর সচেতনতা, জলবায়ু পরিবর্তন, সিটি করপোরেশন ও মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক কার্যক্রমের ফলে আগামী একমাসের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ইইউ সাপোর্ট টু হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন টু দি পুওর ইন আরবান বাংলাদেশ’ প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। সকাল-বিকাল নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে। কীভাবে এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস করা যাবে, সেসব বিষয়ে মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হয়েছে। আমি আশা করি, মাস খানেকের মধ্যেই এডিস মশা একটি সহনশীল জায়গায় চলে আসবে।’

তিনি জানান, ডেঙ্গু একটি গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ। শুধু বাংলাদেশই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে না, এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় যেসব দেশ সফলতা পেয়েছে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় এবং সাত লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। ২০১৯ সালে আমাদের দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করলেও ২০২০ সালে এটিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম।’

গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ুর প্রভাব থাকলেও সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে—লকডাউন এবং ঈদের ছুটি। এ সময় অনেকেই বাসাবাড়ি ছেড়ে নিজ এলাকায় যাওয়ায় এবং নির্মাণ শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় এডিস মশার প্রভাব কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মে-জুন থেকে আরম্ভ করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত এডিস মশার প্রকোপ বেশি থাকে। কারণ, এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।’

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘পৌরসভাগুলোকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে কিছু পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু জনবল সংকট রয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পৌরসভাগুলো তাদের সংকট কাটিয়ে সক্ষমতা অর্জন করবে।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মরন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী এবং বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি মি. মারিজিও চিয়ান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।