নদী রক্ষায় পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

দেশের নদী ও নদী পরিবেশ রক্ষায় পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীর।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন-২০২১ ও নদী রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন।

এ এস এম আলী কবীর বলেন, যদি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় হতে পারে। তাহলে নদী ও জলাশয় মন্ত্রণালয় কেন নয়? আমার মনে হয় নদী বিষয়ক মন্ত্রণালয় হওয়া উচিৎ। নদী কমিশনকে শক্তিশালী করা দরকার। কমিশনের জনবল-কাঠামো বাড়ানো প্রয়োজন। এর সাথে সাথে আইনগত কাঠামো বাড়ানো প্রয়োজন। নদী কমিশনকে সাংবিধানিক সংস্থায় পরিণত করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের মত হওয়া উচিত নদী কমিশন।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত শহর ঢাকা। ঢাকায় বসবাস করা এখন আল্লাহ তায়ালার কুদরত। আল্লাহ না করুক ঢাকার চারপাশের নদী যদি দূষণমুক্ত না করতে পারি আর যদি নদীগুলো মরে যায় এবং ঢাকার অদূরে বনটিও যদি মরে যায়, তখন ঢাকার প্রতিটি ঘরে ও পরিবারের একটি রোগ ঢুকে পড়বে। সেই রোগের চিকিৎসা নেই বললেই চলে। সেটা হচ্ছে ক্যান্সার। পুরনো রোগ কিন্তু মারাত্মক ভয়ঙ্কর একটি ক্যান্সার। এটা সবচেয়ে খারাপ ধরনের ক্যান্সার। এজন্য আমাদের ঢাকার চারপাশের নদী ও ঢাকার অদূরের বনটি রক্ষা করতে হবে।'

সভায় বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি মো. আনোয়ারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন, কমিশনের সদস্য কামরুন নাহার আহমেদ প্রমুখ।