সেজান জুস কারখানায় আগুন: আরও এক মরদেহ হস্তান্তর

নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় আগুনের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকা সাত মরদেহের মধ্যে একজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের বাবা’কে লাশ বুঝিয়ে দেন বাংলাদেশ সিআইডি নারায়ণগঞ্জ। 

পরিচয় পাওয়া শ্রমিকের নাম ইসমাইল হোসেন মহিউদ্দিন (১৮)। সে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার নাসিরপুর গ্রামের মো. ইউসুফ মিয়ার ছেলে। 

সিআইডি ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে নিহত ইসমাইলের লাশ শনাক্ত করা হয়। পরে আজ নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পরিদর্শক মো. আতাউর রহমান মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। 

তিনি বলেন, আজ একজনের মরদেহ হস্তান্তর মাধ্যমে মোট ৪৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পাঁচ জনের (হার গোর) ও প্রথম দফার ৪৮ মরদেহের মধ্যে দুটি হস্তান্তর করা বাকি আছে। 

তিনি বলেন, নিখোঁজের তালিকায় এ পর্যন্ত পাঁচ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছেন মহিউদ্দিন, সাজ্জাদ, লাবনী, রকিব ও শাকিল। ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে নমুনা মিলে গেলেই বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে।

এই ঘটনায় প্রথমে ৫১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে তিন শ্রমিকের লাশ ঘটনার পরপরই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৪৮ মরদেহ দগ্ধ থাকায় শনাক্ত করতে জটিলতা দেখা যায়। তাদের মরদেহ ঢামেক ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। এরপর দু’দফায় ৪৮টি লাশের মধ্যে ডিএনএন'র মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয় ৪৫ জনের। তাদের লাশ দুই দফায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিন জনের লাশ শনাক্ত না করতে পারায় সেগুলো মর্গেই ছিল। 

কারখানা পরিষ্কার করতে গিয়ে গত মাসে দ ‘দফায় আরও পাঁচ জনের দেহবশেষ উদ্ধার করা হয়। তাদেরও ডিএনএ'র মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। সেই সাত জন থেকে আজকে একজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো। এখন পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের লাশ হস্তান্তর করা হলো। এখনও পাঁচ লাশ শনাক্তের অপেক্ষায়। এই ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।