সাম্প্রদায়িকতা হলো উগ্র জঙ্গিবাদ: সুলতানা কামাল

সাম্প্রদায়িকতাকে উগ্র জঙ্গিবাদের সঙ্গে তুলনা করেছেন মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো জঙ্গিবাদি হামলা। জঙ্গিবাদি ভাবনা থেকে এ ধরনের হামলা হয়েছে, এখানে কোনও রাজনীতিও ছিল না, ধর্মও ছিল না।’ 

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ছিলেন ফারজানা রূপা।

দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার সূচনা বিষয়ে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন,  ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা তুলে দিয়ে এক ধরনের সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্কৃতিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছে। আমাদের পরিচয় ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০ বছর তারা এটা করেছে।’

তিনি বলেন,  ‘দেশে প্রথম সাম্প্রদায়িক হামলাটা হয় ২০০১ সালে। আক্রমণটা হয়েছিল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে। আমরা সে সময় ৩৭৫টি ঘটনা উল্লেখ করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র থেকে আদালতে মামলা করেছিলাম। সেই মামলাগুলোর কিন্তু এখনও কোনও রায় হয়নি।’

এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, ‘২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমাদের প্রত্যাশা ছিল, এই মামলাগুলোর বিচার হবে। যারা সাম্প্রদায়িক হামলা করবে তাদের জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু সেটা আমরা এখনও পর্যন্ত করতে পারেনি।’

এ ধরনের হামলা রোধে সরকারের পদক্ষেপের দুর্বলতার সমালোচনা করেন সুলতানা কামাল।  

অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি।