সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে এবার ৩ দফা

দাবি আদায় না হলে ১ নভেম্বর থেকে আবারও আন্দোলন

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপ ও বসতবাড়িতে হামলার প্রতিবাদে গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। সেখানে তারা ৭ দফা দাবি পেশ করেন। সেখান থেকে সরে এসে এবার ৩ দফা দাবি ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।  দাবি আদায় না হলে ১ নভেম্বর থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক সাহিত্য সম্পাদক জয়দীপ দত্ত।

জয়দীপ দত্ত বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের পথ চলা। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পাকিস্তানি ভাবধারাপুষ্ট মৌলবাদী ও উগ্র সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, লুট, খুন ও অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, খুলনা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রংপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, বসতবাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, যদি আবারও দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি হয়, তবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আবারও রাজপথে নামবো এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’

৩ দফা দাবি হলো:

১. দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

২. ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং হামলার আহত ও নিহতদের পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩. সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী প্রণব শর্মা (বাঁধন), নীল অনির্বান, সুব্রত বিশ্বাস, শিপন সূত্রধরসহ অনেকে।