সাম্প্রদায়িক উসকানি বরদাশত করা হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না।

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. মুরাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে উশৃঙ্খল আচরণ, কথা বার্তা বা প্রতিবাদের নামে নোংরামি, যা আমাকে পীড়া দেয়। বাংলাদেশবিরোধী কিছু চক্র সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশ ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নোরাংমি করছে। যে দেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত, যে দেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ফসল, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় তলাবিহীন ঝুড়ির থেকে উন্নয়নের মহাসড়কে— সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নোংরা ভাষায় কথা বলবে, কটূক্তি করবে, তা দেখে আমি মুখ বুঝে থাকতে পারি না।’

লস এঞ্জেলেসের কনসাল জেনারেলের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ বলেন,  ‘বিদেশে মানুষ কষ্ট করে টাকা রোজগার করতে যায়, তারপরও আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ভালোবেসে যুক্ত রয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে লালন করে বলেই।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশে বসবাসরত মা-বোনেরাও দেশের জন্য সাহসী ভূমিকা পালন করছেন।’

ডা.মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে, তাদের সবাইকে আমরা ভালোবাসি আদর করি। মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য ভালো রান্না করে পাঠাই, বা ভালো বাজার করে দেই। এটা বাঙালির ঐতিহ্য, প্রত্যেক বাঙালির মধ্যে আছে।’

তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসায় পড়া ছাত্ররা খারাপ পথে যেতে পারে না। একদল নিকৃষ্ট দেশবিরোধী এই কোমলমতি ছাত্রদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে। আর এদের মদদেই পুজামণ্ডপে হামলা হচ্ছে, হিন্দু ভাইদের নির্যাতন করছে। এরা আসলে মানসিক বিকারগ্রস্ত। এইসব অপশক্তিকে রুখতে হবে এখনই, এদের কোনও ক্ষমা নয়।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এরাই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে দেশকে অস্থিতিশীল করছে, বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এসবের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কি একাই কথা বলবেন? আমরাও বলবো, আর চুপ থাকা যায় না।’