‘বিকিরণ ঝুঁকি নিয়েই রোগনির্ণয়ে রেডিওলজিস্টরা কাজ করে যাচ্ছেন’

রেডিওলজিস্ট ও টেকনোলোজিস্টরা চিকিৎসাযন্ত্রের বিকিরণ (রেডিয়েশন) ঝুঁকিতে থেকেই বিরামহীনভাবে রোগনির্ণয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিভাগ সরকারের রাজস্বের যোগান দিচ্ছে। অথচ তারা পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।

সোমবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে ‘ওয়ার্ল্ড রেডিওগ্রাফি ডে’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপক রবিন সরকার এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব রেডিওলোজি অ্যান্ড ইমেজিং টেকনোলজিস্ট নামে সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে রবিন সরকার বলেন, রেডিওলজিস্টরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে সরকারের রাজস্বের যোগান দিচ্ছে। অথচ তারা কোনও রকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়নে সরকার খুবই আন্তরিক। হাসপাতালগুলোতে  নার্স ও চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাই এখন সেই সমস্যা কেটে গেছে। আশা করছি‑ রেডিওলজি বিভাগের দিকে সরকার নজর দিলে এই বিভাগের সমস্যাও কেটে যাবে। 

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি শাহ আলম খান পারভেজ বলেন, এ বিভাগে যারা কাজ করছেন, তাদেরকে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন চিকিৎসাযন্ত্র থেকে বিচ্ছুরিত বিকিরণ (রেডিয়েশন) এ বিভাগের চিকিৎসকদের শরীরে পড়ছে, এতে এক পর্যায়ে তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে হচ্ছে, পরে মৃত্যু।  এ বিভাগে চাকরি করতে করতে চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কোনও পদোন্নতি হয় না। জনবলও নিয়োগ হয় না। যারা বিশ বছর যাবত এখানে চাকরি করেছেন তাদের পদ আর আজ নতুন একজন যোগ দিলে তার পদ একই।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢামেকের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রবিন।

অনুষ্ঠানে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পুরাতন মেশিনপত্র দিয়ে আপনারা যেভাবে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, আপনাদের যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে আমার স্থান থেকে কিছু করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করব।

তিনি বলেন, এ  বিভাগের উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে,  আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অত্যাধুনিক মেশিনারির ব্যবস্থা করা হবে।

এসময় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আশরাফুল আলম, সহকারী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের টেকনোলজিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে কেট কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।