রাইড শেয়ারিং চালকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির দাবি

অ্যাপ-ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং চালকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তি করাসহ রাইড শেয়ারিংয়ের কমিশন শতকরা ২৫ থেকে ১০ ভাগে নামিয়ে  আনার দাবি জানিয়েছে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার্স ইউনিয়ন।

রবিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘হুমকির মুখে পতিত হওয়া থেকে রাইড শেয়ারিং খাতকে উত্তোলনের উপায়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠন থেকে আরও  দাবি করা হয়—  অপরাধ প্রমাণ ব্যতীত কোনও আইডি বন্ধ করা চলবে না। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে যানবাহন দাঁড় করানোর বৈধ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তালিকাভুক্ত যানবাহনগুলোকে এআইটি (অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স)-এর আওতামুক্ত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে উপার্জনের মাধ্যমে বেকারত্ব নিরসন ও আধুনিক যাতায়াত সুবিধা প্রদানের মধ্যদিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা রাইড শেয়ারিং সেবা পেশার সঙ্গে নিযুক্ত হই। কিন্তু উচ্চমাত্রায় কমিশন গ্রহণ রাইড শেয়ারিং খাতের জন্য প্রধান হুমকি।’

তিনি আরও  বলেন, ‘আমরা চাই না, সাধারণ যাত্রীদের ভাড়া বাড়িয়ে সেবাগ্রহণ করা থেকে তাদেরকে বিমুখ করা হোক। সাধারণ রাইড শেয়ারকারী অর্থাৎ আমাদের কষ্টের উপার্জন থেকে ২৫ শতাংশের মতো কমিশন গ্রহণের মাধ্যমে দিন দিন পথে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন এই সেবা হুমকির মুখে পড়বে। অপরদিকে চার লাখের বেশি পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে অপরাধের মতো পথ বেছে নেবে। যার কোনোটিই জাতির জন্য সম্মানজনক নয়,  রাষ্ট্রের জন্যও মঙ্গল জনক নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দুই সপ্তাহ’র মধ্যে এসব দাবি মানা না হলে আগামী ২৮ নভেম্বর  থেকে ধারাবাহিকভাবে সপ্তাহে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত স্বেচ্ছায় কর্মবিরতির পালন করা হবে।