আট বিভাগে অফিস চায় নদী রক্ষা কমিশন

কার্যক্রম শক্তিশালী করতে প্রত্যেক বিভাগে কার্যালয় চায় নদী রক্ষা কমিশন। পানি পরীক্ষার জন্য কমিশনটি ঢাকায় একটি ল্যাবও করতে চায়। নতুন এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে নদী রক্ষায় গতি আসবে বলে মনে করছেন কমিশন সংশ্লিষ্টরা।

নদী রক্ষার এই নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। বলা হচ্ছে, প্রথমে নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য প্রকল্প চালু হলেও পরে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্বে স্থানান্তর করা হবে। তখন প্রকল্পে নিয়োগ হলেও কর্মীরা স্থায়ী সরকারি চাকুরে হিসেবে থাকবেন।

এখন শুধু ঢাকায় নদী রক্ষা কমিশনের কার্যালয় রয়েছে। দেশের আর কোথাও অফিস না থাকায় কাজের জন্য জেলা প্রশাসকদের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু রুটিন কাজের বাইরে গিয়ে তাদের নদী রক্ষার কাজ করতে হয় বলে এ খাতে আশানুরূপ কাজ হয় না।

নদী রক্ষার কাজে জড়িত অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), পানি উন্নয়ন বোর্ড, নদী রক্ষা কমিশন ও জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ শুধু নৌপথের দেখভাল করে। যেসব নৌরুট খনন প্রয়োজন শুধু সেখানেই তারা খনন করে। যেসব নদী ভরাট হয়ে যায় সেগুলো খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীর দখল চিহ্নিত ও উচ্ছেদের কাজ করে জেলা প্রশাসন। এই তিনটি কাজ তিন মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় কাজের সমন্বয়ে নানা ধরনের সমস্যা হয়। যে কারণে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় করার প্রস্তাব দিয়েছিল নদী রক্ষা কমিশন।

দুই মাস আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সুপারিশে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই উদ্যোগ খুব বেশি এগোয়নি বলে জানিয়েছে সূত্র।

কমিশন সূত্র জানায়, শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে মোট ৪১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। এরমধ্যে ঢাকায় কেন্দ্রীয় অফিসে ৫২ জন নেওয়া হবে। ৮ বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩২৮ জন।

এ ছাড়া ল্যাবে ৩২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এখন প্রধান কার্যালয়ে মোট ৪৮ জনের মধ্যে আছে ৩৯ জন। প্রধান হাইড্রোলজিস্ট পদসহ ৯টি পদ খালি রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনের সচিব আমিনুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা অরগানোগ্রাম (কর্মী তালিকা) সংশোধন করে পাঠালেও তা চূড়ান্ত হয়নি। এবার নতুন করে প্রধান কার্যালয়ে ঘাটতি থাকা জনবল নেওয়ার পাশাপাশি বিভাগীয় কার্যালয় করার প্রস্তাব দিয়েছি মন্ত্রণালয়ে। বিভাগীয় কার্যালয় হলে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নদীর দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে জোরেশোরে মাঠে নামা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মাঝে মাঝেই জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সভা করি। তাদের কাছ থেকে আপডেট পাই। কিন্তু সেটা নিয়মিত ঢাকায় বসে বা সেখানে গিয়ে করা কঠিন। এ কারণে বিভাগীয় কার্যালয়গুলো বড় ভূমিকা রাখবে।’