জাতীয়করণের দাবিতে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি গ্রাম পুলিশ ইউনিয়নের

চাকরি জাতীয়করণের দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়ন। শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব কমান্ডার এম এ নাসের এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ বাহিনীর চাকরি জাতীয়করণের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১২, ১৩, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যেক জেলায় জেলায় এ মানববন্ধন করা হবে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। এর মধ্যে যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে আগামী বছর ২ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী সময়ে মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে সরকার চাকরি জাতীয়করণের দাবি মেনে নেবে বলে মনে করে সংগঠনের নেতারা। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারাদেশে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর ৪৬ হাজার ৮৭০ সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ হাজারের মতো সদস্য সরকারি ভাতা ৩ হাজার ২০০ টাকা পাচ্ছেন। এছাড়া অন্যান্য বেসরকারিতে যে ভাতা রয়েছে তা চার থেকে পাঁচ মাস ধরে বকেয়া রয়েছে।

‘এই স্বল্প টাকায় কীভাবে সংসার চালাই’— একথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সংগঠনের মহাসচিব এম এ নাসের। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সহায়ক হিসেবে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা কাজ করে। গ্রাম পুলিশ সদস্যদের চাকরি জাতীয়করণের পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে সন্ত্রাস নির্মূলের কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।