ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে পুনঃখনন: তাপস

আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনঃখনন কাজ শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। নিয়মিত সাপ্তাহিক পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লোহারপুল এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা নদীপথের (চ্যানেল) ওপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তাপস বলেন, ‘আমরা কামরাঙ্গীরচরে একটি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবো। আর এখানে সেটা করলে আমাদের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কার্যক্রম মাথায় নিয়ে দুটো সেতু করতে হবে, যাতে মূল ঢাকার সঙ্গে সেটার সংযোগ নিশ্চিত হয়। কোথায় কোথায় সেতু করবো, সেই বিষয়গুলো সরেজমিন দেখার জন্য আজকে আমাদের বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাবিদ ও আমাদের প্রধান প্রকৌশলীসহ পরিদর্শনে এসেছি। আমরা আশা করছি, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই আদি বুড়িগঙ্গার পুনঃখনন কাজ শুরু করতে পারবো। সেই লক্ষ্যে এরই মাঝে কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’

ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা নদীর অংশবিশেষ দখলমুক্ত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে এবং আদি বুড়িগঙ্গার যে অংশ এখনও দখল অবস্থায় আছে, সেগুলো দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম হাতে নেবে।’

মহাপরিকল্পনার আওতায় কার্যক্রমগুলো নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘প্রত্যেকটা বিষয়ে আমরা নজর দিচ্ছি। কামরাঙ্গীরচরে এই যে নদী খনন, সেতু নির্মাণ, তার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বেড়িবাঁধের সড়কটাকেও ছয় সারিতে রূপান্তরিত করবো। সুতরাং, আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্যবস্থা ও অন্তর্জাল সৃষ্টির কাজ হাতে নিয়েছি। এটা অনেক বড় কর্মযজ্ঞ। ধীরে ধীরে এটা দৃশ্যমান হবে। আমরা শুধু পরিকল্পনা করছি না, সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন প্ল্যানও নিচ্ছি এবং কাজেও হাত দিচ্ছি। এতে একদিকে আমাদের পরিকল্পনা শেষ হবে, আরেক দিকে কাজগুলো চলবে। পর্যায়ক্রমে আমাদের কাজগুলো দৃশ্যমান হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগ একদম নুয়ে পড়েছিল। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি এবং সে অনুযায়ী এরই মাঝে কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমরা পর্যালোচনা করেছি এবং যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিয়মিত গাড়িচালক ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে আমাদের গাড়ি পরিচালনা করবো না এবং আমাদের সম্পদ, আমাদের গাড়ি কাউকে ধরতে দেবো না। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর। যারা এই নিয়ম ভঙ্গ করে এগুলো করে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো এবং ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের সুযোগ না থাকে, সে জন্য আমরা পুরো সংস্কার করছি।’