সিস্টার কনসার্ন হিসেবে কাজ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি ও আঙ্কারা সিটি করপোরেশন। এনিয়ে দুই সিটি মেয়র একমত হয়েছেন। একে অপরের পরিপূরক হিসেবেও কাজ করবে-। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আঙ্কারা সিটি মেয়রের সঙ্গে এ নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে আঙ্কারার মেয়র মনসুর ইয়াবাস ও ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম শহর ব্যবস্থাপনার নানান অভিজ্ঞতা একে অপরের মাঝে শেয়ার করেন। পাশাপাশি আঙ্কারা সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কীভাবে সফল হয়েছে, সে বিষয়েও আলোচনা করেন দুই মেয়র। আঙ্কারার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি ঢাকায় কার্যকর করতে চান উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় তার সঙ্গে ডিএনসিসির কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা দুই সিটি করপোরেশন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবো। সিস্টার কনসার্ন হিসেবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে আঙ্কারার মেয়র। আঙ্কারা সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কীভাবে সফল হয়েছে, সেটি আমরা কাজে লাগাবো। পাশাপাশি আমাদের নগর ব্যবস্থাপনাকে কীভাবে আরও সফল করা যায়, সে বিষয়েও কাজ করবো। আমরা এই সম্পর্ক অন্যান্য শহরের মাঝেও স্থাপন করতে চাই।’
এদিন সকালে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উদ্বোধন উপলক্ষে আঙ্কারার বঙ্গবন্ধু বুলভার্ডে একটি সভার আয়োজন করা হয়। তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঙ্কারার গভর্নর ওয়াসিপ শাহীন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, আঙ্কারার ডেপুটি মেয়র সেলিম সিরপান লৌ, আঙ্কারার মেয়র মনসুর ইয়াভাস, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশন মাসুদ মান্নান।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ আমাদের জন্য একটি গর্বের দিন। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আমরা বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করতে পেরেছি। এটি দেশের বাইরে জাতি হিসেবে বাংলাদেশের মান উজ্জ্বল করেছে। এজন্য আমি তুরস্ক মেয়রকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা দুই শহর একসঙ্গে কাজ করবো।’
মেয়র জানান, আঙ্কারার মেয়রের সঙ্গে অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প ও বাণিজ্য প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সফরের মাধ্যমে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
এ বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে সফরে থাকা ডিএনসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আসলে প্রযুক্তি কোনও দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। আমরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে চাই। সারা বিশ্বের সব সিটি করপোরেশনের সঙ্গে এমন সম্পর্ক অব্যাহত রাখার চেষ্টা আমাদের থাকবে। এটা দুই দেশের সম্পর্ক সম্মুন্নত রাখবে। বিশেষ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা তুরস্কের অভিজ্ঞা ও প্রযুক্তি যুক্ত করতে চাই। অন্যান্য সিটির উত্তম অভিজ্ঞতাগুলোও কাজে লাগাবো। ফলে আমাদের সঙ্গে সবার সম্পর্ক বাড়বে। যেখানেই মানবিক বিকাশ, সেখানেই আমরা মেয়রের নেতৃত্বে কাজ করতে চাই।’