ইলমার অপমৃত্যুর ঘটনায় মানববন্ধনে হত্যার অভিযোগ ও দ্রুত বিচার দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্রী মেঘলা চৌধুরী ইলমার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাবি নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছিল এই বিক্ষোভ সমাবেশ। কর্মসূচিতে ইলমার অপমৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এর দ্রুত বিচার কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

সমাবেশে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে বোঝা যায়, মেয়েটিকে আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছে। এর চরম পরিণতিতে তার লাশ পাওয়া গেছে। তাকে যে হত্যা করা হয়নি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে সেই প্রমাণ দিতে হবে।’

ঢাবি নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার বিবরণে, ‘খবরটি পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ইলমার স্বামীকে দেখে ও তার সঙ্গে কথা বলে অস্বাভাবিক লেগেছে। পরে যখন মেঘলার লাশ দেখলাম, তখন তার মুখ থেকে শুরু করে সারা শরীরে আঘাতের দাগ চোখে পড়েছে। যদি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাই করে তাহলে তার সারা গায়ে আঘাতের দাগ থাকবে কেন?’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এই রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বলেন, ‘তোমাদের সচেতন হতে হবে। যেকোনও বিষয়ে বিশেষ করে বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নিতে হবে।’

মানববন্ধনে ইলমাকে হত্যার অভিযোগ তোলা হয়

কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীমা বানুর কথায়, ‘ইলমার আসন তার জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু আমরা তাকে পাচ্ছি না। মেঘলার রুমমেটদের কাছে জানতে পেরেছি, বিয়ের পর সে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারতো না। মেঘলা বলতো, তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটা পছন্দ করে না। এটা কেমন পরিবার যে, মেয়েটি তার রুমমেটদের সঙ্গেও কথা বলতে পারতো না!’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাবি’র কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূঁইয়া, নৃত্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তামান্না রহমান।