ইউল্যাবে বিজয় দিবস উদযাপন

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদেরকে স্মরণ করতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় এবং গত ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় পৃথক দুটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কু চৌধুরী।

আক্কু চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। সেটি আজ  প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখার সময় হয়েছে।’

তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, ‘যুদ্ধে আমাদের অস্ত্র ছিল বন্দুক, কিন্তু আজ তোমাদের অস্ত্র হলো প্রযুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তোমাদেরকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, তার সুফল কাজে লাগিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে।’

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে আক্কু চৌধুরী বলেন, ‘একটা সময় শত বছর ধরে পশ্চিমাদের কলোনিয়ান শোষণে আমরা পিছিয়ে গেছি। আজ অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় তাদের সমকক্ষতা অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে। তবে পার্থিব উন্নয়নে পশ্চিমা দেশগুলো বৈশ্বিক পরিবেশের যে ক্ষতি সাধন করেছে, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা বিকাশ করবো, বিনাশ নয়।’

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান মহান বিজয়ের ৫০ বছরে দেশের অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ৫০ বছরে একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠন করেছি। আগামী ৫০ বছরে দেশকে সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ তরুণ সমাজকে করে যেতে হবে।’

ইউল্যাবের উপ-উপাচার্য ড সামসাদ মর্তূজা বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনকালীন সময়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ৮০ শতাংশই ছিল দারিদ্র্য সীমার নিচে। আজ  সেটি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ৮০ শতাংশ মানুষই দারিদ্র্য সীমার  ওপরে বাস করে। কিন্তু বাকি যে ২০ শতাংশ মানুষ এখনও দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে, তাদের প্রতিও আমরা দায় এড়িয়ে যেতে পারি না।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ‘রিমেম্বারিং মার্টারড্ ইনটেলেকচুয়ালস, দি স্পিরিট অব ১৯৭১: এ ডিসকাসন’ অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ছিলেন— শহীদ বুদ্ধিজীবী ড.ফজলে রাব্বি ও ড. জাহানারা রাব্বির সন্তান ড. নুসরাত রাব্বি। ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য আমিনা  আহমেদ, উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সামসাদ মতূর্জা এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

আলোচকরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অনুপস্থিতিতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতির কথা তুলে ধরেন। তারা শহীদের সন্তান ড. নুসরাতকে তার রচনার মাধ্যমে জাতির সামনে ড. মো. ফজলে রাব্বি সম্পর্কে বিশদভাবে জানার সুযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।

ড. নুসরাত রাব্বি তার পুস্তক ‘দ্য স্পিরিট অব ১৯৭১: এ মেমোয়ার’-এ প্রথম কয়েক দশকে  জাতি গঠনে নিরলস বীর সারথি এবং দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে যারা প্রিয় ভূমি স্বাধীন করেছেন তাদের ত্যাগের কথা তুলে ধরেছেন।