মালয়েশিয়া যেতে দালালকে টাকা না দেওয়ার অনুরোধ

দীর্ঘ তিন বছর পর আবারও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর দরজা খুলেছে। এখনও কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ে আলাপ বাকি আছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তিনি জানান, সব সুরাহা হওয়ার পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হবে। সেই ঘোষণা মন্ত্রণালয় থেকেই দেওয়া হবে। তার আগে দালালের মাধ্যমে কোনও প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ জানান তিনি। আর মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, দুই-একদিনের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তারা।

ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়া প্রান্তের খরচ এবং বিমান টিকিট নিয়োগ কর্তা দেবেন। এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং প্রত্যাবাসনের আদর্শ কাঠামো

প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উভয় দেশের আইন, বিধি, প্রবিধান, জাতীয় নীতি এবং নির্দেশাবলির আলোকে এই সমঝোতা স্মারকে কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদাকে অধিকতর সুরক্ষিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সকল খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। যেমন- রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় নেওয়া, আবাসন, কর্মে নিয়োগ এবং কর্মীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ বহন করবেন। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সকল ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা/ কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করবেন। ফলে আশা করা যায়, কর্মীর অভিবাসন খরচ অনেক কমে যাবে।’

মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘কর্মী যাবে বিএমইটির ডাটাবেজ থেকে। কীভাবে, আমরা সেটা ঠিক করবো। বাংলাদেশি প্রান্তের যে খরচ সেটা খুবই কম হবে। আমরা সেই খরচ নির্ধারণ করে একটা ধারণা দেবো।’

এসময় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বিএমইটির মহাপরিচালক মো শহীদুল আলম এনডিসিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।