বার্ন ইউনিট থেকে বাড়ি ফিরেছেন লঞ্চে দগ্ধ ৫ জন

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ৫ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছেন। তারা আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও ১৫ জন চিকিৎসাধীন।
 
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২২ জন দগ্ধ ভর্তি হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। পাঁচজন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ভর্তি ১৫ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ৩ জন, এইচডিইউতে ২ জন এবং পোস্ট অপারেটিভে আছেন ১০ জন। এছাড়া ২২ জনের মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন।
 
আইসিইউতে রয়েছেন, ২৫ শতাংশ দগ্ধ শাহিনুর খাতুন (৪৫), ১৫ শতাংশ মারুফা (৪৮) ও ৩০ শতাংশ দগ্ধ মনিকা রানী (৪০)।  এইচডিইউতে রয়েছেন ৩০ শতাংশ দগ্ধ তামিম হাসান (৮)  ও তার মা জেসমিন আক্তার  (৩৫)। জেসমিন আক্তারের ১২ শতাংশ  দগ্ধ হয়েছে। 
 
পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রয়েছেন, বাচ্চু মিয়া (৫১), ইশরাত জাহান (২২), সেলিম রেজা (৪৫), লামিয়া (১৩), মমতাজ (৭০), রাসেল (৩৮), বানকিম মজুমদার (৬০), গোলাম রাব্বি (২০), খাদিজা (২৭) ও বশির (৩৫)।  তাদের সবার শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. সামান্ত লাল সেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিকাশ মজুমদার (১৬)। 
 
অপরদিকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে পাঁচ জনকে। তারা হলেন, সাইফুল্লাহ মুনসুর সাদিক (১৬), তৌহিদুল হক (৪৫), তানজিল হোসেন তুষার (১৯), আল নোমান আলিফ (১৯) ও আবদুর ছাত্তার (৩৮)। 
 
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নলছিটির সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।