নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পেতে পারেন বৃহস্পতিবার

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুসারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী— বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে এমন খবর প্রচার হতে থাকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের মেয়াদ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। এ কারণে বৃহস্পতিবারই (৩০ ডিসেম্বর) অবসরে যাচ্ছেন। তিনি বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।

উল্লেখ্য, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের একমাত্র ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ দান করবেন।’

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া যায় না। এখনও পর্যন্ত বর্তমান প্রধান বিচারপতি দায়িত্বে আছেন। তিনি এখনও মেয়াদ শেষ করে বিদায় নেননি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, নতুন বিচারপতি নিয়োগের কোনও সংবাদ পাইনি। তবে বুধবার সন্ধ্যায় বর্তমান প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।

সূত্রমতে, নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ফাইলে রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পরই গেজেট প্রকাশ হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি নিয়োগের আদেশ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হলে নতুন প্রধান বিচারপতি শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শপথ নিতে পারেন।

জানা গেছে, আপিল বিভাগে বর্তমান বিচারপতিদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ক্রমধারায় প্রথম অবস্থানে রয়েছেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর অবস্থান দ্বিতীয়, ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী  ২০০১ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।