সেদিন যারা হেসেছিল তারা এখন মুখ লুকায়: তাপস

শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণায় সেদিন যারা হেসেছিল, আজ তারা মুখ লুকায়। তাদের প্রস্ফুটিত চেহারা এখন আর দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তাপস বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বলেছিলেন— আমরা হবো ডিজিটাল বাংলাদেশ। তৎকালীন সময়ে একদল লোক হাসলো। আজ  সবার হাতে মোবাইল। করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্ব যখন স্তব্ধ, আক্রান্ত— তখন প্রযুক্তির সহায়তা কাজে লাগিয়ে আমরা সফল। শিক্ষার্থীদের বলা হলো— অনলাইনে ক্লাস করো। ২০০৮ সালে সম্ভব ছিল না, ২০২০-২০২১ সালে সম্ভব হয়েছে। এটার নাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। যারা হেসেছিল তারা এখন মুখ লুকায়। এখন আর  তাদের প্রস্ফুটিত চেহারা নেই।’    

নিজের ৫০ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন আনন্দদায়ক হলেও মুক্তিযুদ্ধকালীন বাবা-মায়ের দুঃসহ দিনের কথা স্মরণ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমার মা আমাকে পেটে ধারণ করে জীবন বাঁচানোর জন্য একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন। বাবা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চলে গেলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত ও গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য। মা টুঙ্গিপাড়ায় কিছুদিন পালিয়ে ছিলেন। সেখানে পাকিস্তানিরা হানা দিলো, পুড়িয়ে দিলো সবকিছু। সেখান থেকে পালিয়ে আমরা গেলাম বরিশালে। সেখানেও হানা দিলো, পুড়িয়ে দিলো। তারপরে আরেক জায়গায় পালালাম। এভাবে পালাতে পালাতে বাবা লোক পাঠিয়ে আমাদেরকে আগরতলায় নিয়ে গেলেন। সুতরাং, ১৯৭১ সালে ১৯ নভেম্বর শরণার্থী হিসেবেই আমার জন্ম গ্রহণ।’

আলোচনা সভা শেষে একাদশ শ্রেণির ১২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমিনা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলীসহ কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।