শিল্পকলার ডিজিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে দুদক 

অর্থপাচার ও দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাকে তলব করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় লিয়াকত আলী লাকীকে ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। 

দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযােগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়াকে সদস্য করে দুই সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে লিয়াকত আলী লাকীর কাছে ইতোমধ্যে কিছু রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। এগুলো হলো, ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকায় বরাদ্দকৃত বাজেট এবং ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকায় বরাদ্দকৃত বাজেট এবং ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমির অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা ৩০-৬-২০২১ তারিখে ব্যয়করণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র। এছাড়া একই অর্থবছরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়ােজন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপিও চাওয়া হয়েছে। 

দুদক সূত্র জানায়, লিয়াকত আলী লাকীর কাছে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে ৩১-১২-২০২১ তারিখ পর্যন্ত ব্যয় সংক্রান্ত বিভিন্ন ভাউচার, ক্যাশ বই এবং শিল্পকলা একাডেমি নামীয় সােনালী ব্যাংকের সেগুনবাগিচা শাখা থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপিও চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অনুসন্ধানের প্রয়ােজনে পরবর্তী সময়ে প্রয়ােজনীয় রেকর্ডপত্রাদি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।