গ্রাহকের তথ্য ও ইভ্যালির সম্পদের পরিমাণ জানা যায়নি

হাইকোর্ট নির্দেশিত বোর্ডের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, অডিটর নিয়োগ না হওয়া ও ইভ্যালির সার্ভার বন্ধ থাকায় গ্রাহকের কোনও তথ্য এমনকি প্রতিষ্ঠান সম্পদের পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে অডিটর নিয়োগ হলেও ছয় মাস সময় লাগবে অডিট করতে। ইভ্যালির সার্ভার পরিচালিত হচ্ছিল অ্যামাজনের মাধ্যমে। সেখানেও ইভ্যালির বকেয়া ৬ কোটি টাকা। আমরা অ্যামাজনের সাথে দরকষাকষি করছি। সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ এবং অডিটর নিয়োগের পর সম্পত্তির তথ্য পর্যালোচনা করে গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে পাসওয়ার্ড না পাওয়ার কারণে দুটি লকার কাটার পর গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

তিনি বলেন, একটি লকার থেকে দুটি ব্যাংকের চেক বুক এবং কয়েকটি ও প্রয়োজনীয় কাগজ, অন্য লকার থেকে ২৫৩০ টাকা এবং  স্বাক্ষরযুক্ত কয়েকটি ব্যাংকের চেকের পাতা আমরা পাই। ইভ্যালির ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা সাউথইস্ট ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংকে আটকা রয়েছে। এসব টাকা তোলা হবে। এছাড়া গেটওয়েতে ২৬ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। এছাড়াও নগদে ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা রয়েছে যা আমরা অচিরেই তুলে আনবো এবং রিফান্ড করার চেষ্টা করবো। এছাড়া ইভ্যালির মালিকানাধীন ২৪টি গাড়ির সন্ধান আমরা পেয়েছি। যার মধ্যে তিনটি গাড়ি বিলাসবহুল। ইভ্যালির মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী গাড়িগুলো ব্যবহার করতেন। ১৬টি গাড়ি আমাদের জিম্মায় নিয়েছি।

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেখভালের জন্য ঢাকা এবং সাভারের গোডাউনে আমরা ৩০ জন নিয়োগ দিয়েছি। তাদের গত তিন মাস ধরে কোনও বেতন দিতে পারছি না।  হাইকোর্ট যে অডিটরকে নিয়োগের জন্য আদেশ দিয়েছিলেন সেই অডিটর অনেক টাকা চাইছে যা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা অন্য অডিটরের সাথে যোগাযোগ করছি। পরবর্তীতে হাইকোর্টকে এ বিষয়টি অবহিত করবো। হাইকোর্টে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন। রাসেল ও তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে কত টাকা কিংবা সম্পত্তি রয়েছে এ বিষয়গুলো আমরা জানতে চেষ্টা করছি।

সাভারে ইভ্যালির গোডাউনে যেসব মালামাল রয়েছে সেগুলো নিলামে তোলা হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, অডিটর নিয়োগ এবং সার্ভারের তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত এব হাইকোর্টের নির্দেশনা না পেলে আমরা নিলামে তুলতে পারবো না।