মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় সমঝোতা স্মারক সই  

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারক আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত বলবৎ  থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস এবং  ন্যাশনাল হার্ট  ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তি অনুযায়ী এ  হাসপাতাল থেকে  একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা  পাবেন। এর মধ্যে চিকিৎসা পরামর্শ,  ওষুধ, বেড, পথ্য এবং নার্সিং সেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের  লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘সরকারি হাট-বাজারগুলোর ইজারালব্ধ আয়ের ৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় নীতিমালা ২০২১’ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, মন্ত্রণালয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালসহ মেডিক্যাল কলেজ ও ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দিতে পারবে। জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এগুলোর মধ্যে অন্যতম।    

২২টি বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে— ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী  মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সিলেট, শের-ই- বাংলা  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-বরিশাল, জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন  হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-ঢাকা এবং বারডেম জেনারেল হাসপাতাল-ঢাকা।