খালেদা জিয়ার ২ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে করা দুই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো। আদালত এই শুনানির জন্য আগামী ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন পালনের সংবাদ ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল উল্লেখ করা হয়েছে। তার বিয়ের কাবিনে জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ লেখা হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত বলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।