‘শপিং সেন্টারে ব্রেস্টফিডিং ও ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা থাকতে হবে’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, একটি দেশ ও জাতির উন্নয়নে নারীদের কোনও বিকল্প নেই। আজকের নারীরা আর পিছিয়ে নেই। নারীরা তাদের অধিকার আদায় করে নিতে শিখেছে। নারীরা এখন জানে কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়। তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকায় নতুন প্রতিটি শপিং সেন্টারে ব্রেস্টফিডিং সেন্টার ও ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা থাকতে হবে।’

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত নগর ভবনে নারী দিবস  উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং দ্য কার্টার সেন্টারের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসিতে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নারীদেরকে সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। শুধু নারী দিবসে নয়, বছরের ৩৬৫ দিনই নারীদের সম্মান ও সেবা প্রদানে ডিএনসিসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির পিতা হওয়ার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন, তিনিও কিন্তু একজন নারী, তিনি হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। যিনি সবসময় বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে উনাকে অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছিলেন।’ 

মেয়র আতিক আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গমাতার অনুপ্রেরণাতেই জেলে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটি লিখেছিলেন।

নারীরা অনেক সময় সব অভিযোগ সরাসরি দিতে চায় না, কিংবা সম্ভব হয় না, তাই মেয়র ডিএনসিসির ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের  মাধ্যমে নারীদেরকে তাদের অভিযোগ জানানোর জন্য আহ্বান করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দ্য কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিসহ আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শবনম জাহান নাহিদ ইজাহার খান প্রমুখ।