ব্র্যাকের সুবর্ণজয়ন্তী সোমবার

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ করছে সোমবার (২১ মার্চ)। ১৯৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া এ প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য সাফল্যে গাঁথা মালায় উদ্ভাসিত। রবিবার (২০ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার ১০টি দেশের ১০ কোটিরও বেশি মানুষের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতা অর্জনে কাজ করে চলেছে ব্র্যাক।

প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত জনপদ শাল্লায় ব্র্যাকের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তখন ভারত থেকে স্বদেশে ফিরে আসা শরণার্থীদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ করত সংগঠনটি। নাম রাখা হয়– বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাসিসটেন্স কমিটি, সংক্ষেপে ব্র্যাক।

ব্র্যাকের প্রথম প্রকল্প- ফিরে আসা শরণার্থীদের জন্য শাল্লায় ১০ হাজার ২০০ বাড়ি নির্মাণের পাশাপাশি জীবিকা সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং ১৫ হাজার শিশু ও নারীকে খাদ্যের যোগান দেওয়া হয়। কিছুদিন পর সমবায়, কৃষি উন্নয়ন, বয়স্ক শিক্ষা, পুষ্টি, কুটিরশিল্পকে কেন্দ্র করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গৃহীত হয়। তারপর শুরু ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড আড়ং। আশির দশকে দেশের প্রতিটি পরিবারে মায়েদের খাওয়ার স্যালাইন তৈরি করতে শেখান ব্র্যাকের মাঠকর্মী বাহিনী। এরপর প্রায় অর্ধেক বাংলাদেশে ব্র্যাকের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয়। যার ফলে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হ্রাস পায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্র্যাকের সকল কর্মসূচি, কার্যক্রম ও মডেল, সর্বোপরি ব্র্যাক ব্র্যান্ডটিই গড়ে উঠেছে নারীর ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে। একটি প্রতিষ্ঠান টিকে থাকে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে। অতীতের মতো বর্তমান ও ভবিষ্যতেও নিজের প্রাসঙ্গিকতা প্রমাণের চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবেলা করবে ব্র্যাক। এজন্য ভবিষ্যতের সমস্যার ক্ষেত্রগুলোকে আগাম চিহ্নিত করা ও সমাধান নির্দেশনায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষ, অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী এবং সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে ব্র্যাক এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।