পাওনা টাকার জেরে সাভারে কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যা করে বন্ধুরা

ঢাকার সাভারে পাওনা ৬ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে কলেজ শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসানকে হত্যা করা হয়। বন্ধু মো. ইমন ও মোহাম্মদ পিয়াসের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার চাপ দিলে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে সাকিবকে হত্যা করে তারা। 

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইমনকে গতকাল রবিবার (২৭ মার্চ) সাভারের নগরকোন্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ইমন এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।

এ হত্যাকাণ্ডে আরও পিয়াসও জড়িত বলে র‌্যাবকে তথ্য দিয়েছে সে। পিয়াস বর্তমানে পলাতক। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে ইমন র‌্যাবকে জানায়, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৭ মার্চ রাতে ইমন ফোন কলের মাধ্যমে ভিকটিমকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে সাভার মডেল থানাধীন নগরকোন্ডা এলাকায় নিয়ে আসে। পরে সাকিবকে নির্জন একটি নির্মাণাধীন একতলা ভবনের কাছে নিয়ে দুইটি ধারালো ছুরি দিয়ে উপুর্যুপুরি আঘাত করে হত্যা করে। পরে তারা লাশ গুমের উদ্দেশ্যে মৃতদেহটি নির্মাণাধীন ওই বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে ঢাকনা বন্ধ করে দেয়। 

ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা দুজনই (ইমন ও পিয়াস) মাদকসেবী। সাকিব চাকরি করতো, সে কারণে তার কাছে সবসময় টাকা থাকতো। আসামিরা বন্ধুত্বের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময়ে তার কাছে মাদক কেনার জন্য জোর করে টাকা নিতো। এ নিয়ে আগেও তাদের মধ্যে ঝামেলা ছিল। 

হত্যার কারণ অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ইমন ও পিয়াসের কাছে ৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল সাকিবের। সে বেশ কিছুদিন ধরে আসামিদের তার পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। কিন্তু আসামিরা টাকা ফেরত না দিয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।