জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বন্ধুরাষ্ট্রগুলো: ডিএমপি কমিশনার

জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে বলে বাংলাদেশকে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো জানিয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানস্থল রাজধানীর রমনা পার্কের বটমূল এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বন্ধু কয়েকটি রাষ্ট্র জঙ্গির ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তারা আশঙ্কা করছে, আমাদের উপমহাদেশে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ-এই তিন দেশেই জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা ধারণা করছে। সেই ধারণা থেকেই আমরা পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আমরা কিছু উগ্র সংগঠনের তৎপরতা লক্ষ করছি। সেটার কারণে আমরা পহেলা বৈশাখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।’   

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে কোনও নাশকতা বা হামলার আশঙ্কা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা কোনও আশঙ্কা করছি না, এখানে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটবে। তবে আমরা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে চেয়েছি। সে জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে একেবারে সবকিছু আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি, তা কিন্তু নয়।’

তিনি বলেন, ‘কোনও কিছুই ঘটবে না, তা কিন্তু বলার সুযোগ নেই। এ সব অনুষ্ঠানে সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার সুযোগ নেই। যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটে, সেখানে কোনও সেলফ রেডিক্যালাইজড লোক একটা ছুরি নিয়ে এসে যদি হামলা করে, একটা ব্লেড নিয়ে হামলা করে এটাতো একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যারা শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন, তারা নির্দিষ্ট সময় আসবেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্ডন করা শোভাযাত্রার মধ্যে শুরুতেই প্রবেশ করবেন। হঠাৎ করে কেউ রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। শোভাযাত্রাটি সবসময় এভাবেই করা হয়। এখানে যেকোনও একজন মানুষ হঠাৎ করে বাইরে থেকে প্রবেশ করে বড় নাশকতা করতে পারে। আমরা তাই সবাইকে তল্লাশি করে শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে দেবো।’

রোজার কারণে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।